১৯০৯ সালে জন্ম নেয়া হরিপুর থানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত একটি জনপদ। মাত্র ৭৬ বর্গমাইল আয়তন বিশিষ্ট থানাটির পূর্বে ও পশ্চিমে দুই উপনদী কুলিক ও নাগরের মেঘলা বেষ্টিত এবং উচু বেলে, দোঁ-আশ ও বন্যারেখ-বহির্ভূত জলা মৃত্তিকা স্তরে অসংখ্য পুকুর আর ঐতিহ্যবাহী গড় ও পীর দরবেশের মাজার গড়ে উঠেছে। ফলে এর প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়েছে ধ্যানগম্ভীর পবিত্র রুপ।
হরিপুরের নাগর নদী ভারত হতে উৎপন্ন হয়ে পঞ্চগড় জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে হরিপুর উপজেলা হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করেছে। তীরনই নদী এবং নোনাখাল, যমুনা খাল ও জালুই খাল নামে কিছু উল্লেথযোগ্য খাল এই নদীতে মিশেছে। এদের মিলিত স্রোতধারা জেলার পশ্চিমাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
ভূতাত্বিক উৎপত্তি ও গুণাগুণের নিরীখে তিস্তার পল্লী অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হলেও বিহারের শুষ্ক মরু অঞ্চলের সঙ্গে এর ভূ-প্রকৃতির সাদৃশ্য চমকপ্রদ। আগেই বলা হয়েছে, হরিপুরের অধিকাংশ স্থানেই বেলে এবং দোঁ-আশ মাটি। আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। বনাঞ্চল নেই বলে বৃষ্টিপাতও স্বল্প।